আলু কাটার সময় খোসাগুলো ফেলে দেয়া হয়। তবে জানেন কী আলুর খোসার গুণ সম্পর্কে? আলুর খোসার উপকারিতা কি? আলুর খোসার গুণ সম্পর্কে জানলে আপনি কখনও আলুর খোসা ফেলে দেবেন না। আলুর খোসার ব্যবহার এবং উপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখুন।
আরও পড়ুন: তরমুজের উপকারিতা
আলুর খোসার কী কী গুণ রয়েছে জেনে নেয়া যাক
আলুর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম এবং মিনারেল। এটা শরীরের রাসায়নিক প্রক্রিয়া উন্নত করে। এবং পটাশিয়াম আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সচল রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিটি আলুর খোসায় ৬০০ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে। যেটা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে অনেক প্রয়োজনীয়।
হজমশক্তি দুর্বল যাদের তাদের জন্য বিশেষ করে আলুর খোসা খাওয়া খ উপকারী। কারণ, আলুর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আমাদের শরীরের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এই ফাইবার। গুরুপাক খাবারও সহজে হজম করতে আলুর খোসা সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: পানিফলের উপকারিতা
আমাদের শরীরের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ১৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন দরকার। কিন্তু শরীরের জন্য এই নিয়াসিন পাবেন কোথা থেকে? সমাধান পাবেন আলুর খোসায়। আলুর খোসা থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়াসিন আপনি পেতে পারেন। যেটা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
শরীরের জন্য আয়রন হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন রক্ত কণিকার কার্যপ্রণালীকে স্বাভাবিক এবং সক্রিয় রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। প্রত্যেক দিন তিন থেকে পাঁচটি আলুর খোসা খেতে পারলে আমাদের শরীরে ৪ মিলিগ্রাম লৌহ বা আয়রনের ঘাটতি পূরণ হবে।
গোল আলু থেকে আমরা ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট পেয়ে থাকি। আলুর খোসা থেকেও একই উপাদান আমরা পাই। এজন্য আমরা যদি আলুর খোসা না ছাড়িয়ে খেতে পারি তাহলে এই প্রোটিন, মিনারেল, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেট বেশি করে আমরা পাবো। যেটা আমাদের শরীরকে আরো রোগ প্রতিরোধক এবং শক্তিশালী করে তুলবে।
আরও পড়ুন: সর্দি জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত
আলুর খোসায় প্রচুর ফাইবার থাকার কারনে হজম শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও একটি উপকার হয়। সেটা হলো শরীর থেকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ শুষে নিয়ে থাকে। ফলে আলুর খোসা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব দরকারি। ডায়াবেটিস রোগীদের যদিও আলু খেতে মানা করা হয়। কিন্তু আলু খোসা সহ সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এতে তেমন ক্ষতি হবে না।
ছবি সূত্র : ইন্টারনেট
